Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
বিজয় দিবস
বিস্তারিত

বিজয় দিবস

মহান মুক্তিযুদ্ধে উপকুলীয় দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের নবম সেক্টরের অধীনে উপকুলীয় এলাকার সংগঠিত হওয়া মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। উপকুলীয় এ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন কেন্দ্র ছিল নবম সেক্টরের সাব সেক্টর হেড কোয়াটার বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়ায়। স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে ২০১৩ সালে ১৯ নভেম্বর বুকাবুনিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। বামনা উপজেলা সদরে নির্মান করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন।
১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর বামনায় সংগঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহসিকতায় এখানে অবস্থানরত পাক বাহিনীদের পরাজিত করে । ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাধীনতা যুদ্ধের নবম সেক্টর পটুয়াখালীর সাব সেক্টর বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া বাজারে সাব-সেক্টর অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মেহেদী আহসান আলী ঈমাম উদ্বোধন করেন। যুদ্ধকালীন কমান্ডার ও কোয়ার্টার মাস্টার ছিলেন আঃ মজিদ মিয়া। মে মাসের শেষ সপ্তাহে সাময়িক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মোঃ মতিন আল হোসাইন সেলিম সরদার সাব সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শুরু করেন। 

২৪ নভেম্বর ভোর রাতে মুক্তিকামী যোদ্ধারা পাকিস্তানীদের হাত থেকে বামনাকে মুক্ত করার জন্য থানা আক্রমন কর্।ে থানার অভ্যান্তরে থেকে পুলিশ ও রাজাকার বাহিনী প্রচন্ড ভাবে তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে, কিন্তু অদম্য মুক্তিযোদ্ধারা থানার উত্তর দিকে আকন বাড়ির বাগান ও দক্ষিণ দিকে সারওয়ারজান হাইস্কুল ও পশ্চিমে মোঃ লাল মিয়ার বাড়ীর আশপাশে একটি বেষ্টনী বলয় গড়ে থানাকে লক্ষ্য করে মুক্তিযোদ্ধারা তুমুল বেগে গুলি চালায়।
এর কিছুক্ষণ পরই তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য শক্তির কাছে পিছু হটে বাধ্য হয়ে আত্ম সমর্পন করে। এসময় কয়েকজন রাজাকার ও পাকিস্তানী সেনা এ যুদ্ধে নিহত হয়।ওই দিনই বামনা থানার পতাকা স্তম্ভে উল্লাসিত মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করে বিজয় উল্লাস করে বামনা শক্র মুক্ত করে।